৪৩তম বিসিএস
গোয়েন্দা সুপারিশে বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীকে পুনর্বিবেচনার সুযোগ দিচ্ছে সরকার
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
০২-০১-২০২৫ ০৬:১৮:২২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৩-০১-২০২৫ ১১:১৬:২৮ পূর্বাহ্ন
৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সাময়িকভাবে মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে যারা চূড়ান্ত নিয়োগ থেকে বাদ পড়েছেন তাদের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলেছে, স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকায় ৪০ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আর ২২৭ জনকে বাদ পড়েছেন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে অনুপযুক্ত হওয়ার কারণে। তবে বাদ পড়াদের মধ্যে ২২৭ প্রার্থীর পুনর্বিবেচনার আবেদন নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন ৪৩ তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য ২০২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি ২ হাজার ১৬৩ জনকে মনোনীত করে সুপারিশ করে। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালা, ১৯৮১ এর ৭ ধারার বিধান মোতাবেক বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রার্থীদের প্রাক-চরিত্র যাচাই-বাছাইঅন্তে সুপারিশকৃত ২ হাজার ১৬৩ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জন এবং এজেন্সি রিপোর্ট বিবেচনায় সাময়িকভাবে ৫৯ জনসহ মোট ৯৯ জনকে বাদ দিয়ে, অবশিষ্ট ২ হাজার ৬৪ জন প্রার্থীর অনুকূলে গত বছরের ১৫ অক্টোবর নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এ নিয়োগের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়। তৎপ্রেক্ষিতে সকল সমালোচনার উর্ধ্বে থেকে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির প্রার্থী নির্ধারণে এবং সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার নিমিত্তে ৪৩তম বিসিএস এর সুপারিশকৃত ২ হাজার ১৬৩ জন প্রার্থীর বিষয়ে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-এনএসআই এবং ডিজিএফআই এর মাধ্যমে প্রাক-চরিত্র পুনরায় অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এনএসআই এবং ডিজিএফআই থেকে এসব প্রার্থীর উপযুক্ততা/অনুপযুক্ততা বিষয়ে প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী ২২৭ জন প্রার্থীর প্রাক-চরিত্র বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য (আপত্তি/অসুপারিশকৃত) পাওয়া যায়। এই প্রার্থীদয়ের বিষয়ে বিরূপ মন্তব্যের কারণে সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা হয়, এবং তাঁদের বিষয়ে অধিকতর যাচাই-বাছাই ও খোঁজখবর নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জনকে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা হয়। এই প্রেক্ষাপটে, আলোচিত ২৬৭ জনকে বাদ দিয়ে ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থীর অনুকূলে গত ৩০ ডিসেম্বর নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় বলে উল্লেখ করেছে মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তির শেষে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত ২২৭ জনের মধ্যে যে কেউ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হচ্ছে। পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
গত বছরের ১৫ অক্টোবরের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থেকে ১৬৮ জনকে বাদ ৩০ ডিসেম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের সিদ্ধান্তের ব্যাপক সমালোচনা হয়। সরকারের এ সিদ্ধান্তকে জুলাই বিপ্লবের সাথে সাংঘর্ষিক এবং আওয়ামী লীগ সরকারের মত আচরণ বলে অনেকে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি যারা বাদ পড়েছেন তারা ১ জানুয়ারি সচিবালয়ের সামনে জড়ো হয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে কেন বাদ পড়েছেন জানতে চেয়ে আবেদন করেন। পাশাপাশি তাদেরকে নিয়োগের জন্য বিবেচনার দাবিও তোলেন।
বাংলা স্কুপ/ এএইচ/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স